আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত, আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংগঠিত এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে অভ্যুত্থানে স্পিরিট অনুযায়ী কাজ করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কমিটি আগেই গঠন হয়েছে। চার সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির প্রধান হন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব হন আরিফ সোহেল। কমিটির বাকি দুজন- মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসুদ এবং মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
শনিবার (২ নভেম্বর) কুষ্টিয়া জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়। আগামী ৬ মাসের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এ কমিটির অনুমোদন দেন।
পরে ৫ আগস্টের পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সমন্বয়ক পরিচয়ে অনেকের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। এর পর ২২ অক্টোবর ১৫৮ সদস্যের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তখন বলা হয়েছিল, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যেন অপকর্ম করতে না পারেন, সে জন্য তারা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করতে চান। শিগগিরই কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে।
আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, যেসব জেলায় কমিটি করা হবে, সেই জেলাগুলোর বেশির ভাগ উপজেলার কমিটি তৈরি হয়ে গেছে। উপজেলা কমিটি জেলা কমিটির সঙ্গেই ঘোষণা করা হবে।
এদিকে সংগঠনটির সাবেক সমন্বয়করা বলছেন, জুলাই আন্দোলন শুধু কোটা সংস্কারে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এই ব্যানার ফ্যাসিবাদের পতন ত্বরান্বিত করেছে। দেশের মানুষ মনে করে, এই ব্যানারের কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার সুযোগ নেই। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–পরবর্তী রাষ্ট্র সংস্কারের দায়দায়িত্ব এই ব্যানারের ওপর বর্তায়। তবে এই ব্যানার কোনো রাজনৈতিক দলে রূপ নেবে না।
সূত্র: ঢাকাপোস্ট।
Leave a Reply