বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। যারা ঢাকায় প্রবেশ করছেন এদের বেশিরভাগই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। অবশ্য বাড়তি ছুটি নেওয়া অনেকে পরিবার নিয়ে ঢাকায় ফিরে আসছেন। এতে করে ঢাকামুখী যানবাহনে ফিরতি যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি অনেকে এখনও যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। তবে সেই সংখ্যা খুব বেশি নয়।
মোহাম্মদ রাশেদ ময়মনসিংহের বাসিন্দা। তিনি ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেন। রাশেদ জানান, ঈদের ছুটি মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল। কিন্তু এক বন্ধুর বিয়ে থাকায় ছুটি একদিন বাড়িয়ে আজ ঢাকায় ফিরলাম। আজ থেকে অফিস শুরু করব।
ময়মনসিংহ রুটের এনা ট্রান্সপোর্টের টিকিট মাস্টার মো. শহীদুল বলেন, বুধবার সকাল থেকে লোকজন ঢাকায় আসা শুরু করেছে। আজকেও লোকজন আসছে। যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। শুক্রবার থেকে মূল চাপটা শুরু হবে। সকাল সকাল রাস্তা ফ্রি থাকায় বাস খুব সহজে ঢাকায় ঢুকতে পারছে।
বাস টার্মিনালে দেখা যায়, ময়মনসিংহ, হালুয়াঘাট, নেত্রকোনা, জামালপুর, বগুড়া ও নওগাঁ এলাকার এলাকার বাসগুলো সিট ভর্তি করে ঢাকায় যাত্রী নিয়ে আসছে। কিন্তু ঢাকা থেকে এসব এলাকায় ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো সেই অর্থে যাত্রী পাচ্ছে না। তবে যাত্রী হিসেবে যাদের পাচ্ছেন এদের বেশির ভাগই ঈদের ছুটি বাড়িতে যেতে পারেননি। তাই তারা এখন ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছেন।
ময়মনসিংহগামী সৌখিন পরিবহন কাউন্টারে আধা ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে বসে আসেন রাজীব। তিনি বলেন, বেসরকারি একটি হাসপাতালে চাকরি করি। ঈদের ছুটি পাইনি। এখন ছুটি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। যাত্রী কম দেখে এরাতো বাস ছাড়ছে না। দেখি, আরও কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
নওগাঁগামী ফাতেহ আলী বাসের জন্য অপেক্ষমাণ সুলতানা রাজিয়া জানান, ঈদে বাড়ি যেতে পারিনি। এখন পারিবারিক একটা প্রয়োজনে বাড়ি যেতে হচ্ছে। অনেকক্ষণ ধরে কাউন্টারে বসে আছি। যাত্রী নেই, সেজন্য বাস ছাড়ছে না।
গত রোববার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। তবে ঈদের ছুটির সঙ্গে বুধ ও বৃহস্পতিবার (১৯-২০ জুন) ছুটি নিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাচ্ছেন অনেকে। অবশ্য অনেকেই ইতোমধ্যে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
Leave a Reply