ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীরা শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মুঠোফোন ও ম্যানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল জাহিদ বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল জাহিদ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ সংলগ্ন রেলগেট এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলেন। এ সময় ৫-৭ জন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ চায়। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে পেছন থেকে একজন ছিনতাইকারী ছুরিকাঘাত করে। পরে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ও মানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী চিৎকার করলেও পাশে থাকা পুলিশ এগিয়ে আসেনি বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর সহপাঠীরা। আহত অবস্থায় আব্দুল্লাহ আল জাহিদ পুলিশ বক্সের সামনে আসেন। তারপর পুলিশ সদস্যরা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়। পরবর্তীতে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জাহিদের সহপাঠী ও বাংলা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ রানা বলেন, এর আগেও ক্যাম্পাসে ছিনতাইয়ের অনেক ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মেরে আহত করা সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। প্রায়ই ক্যাম্পাসে ও বাইরে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন এগুলো আটকাতে ব্যর্থ। বার বার দাবি জানানোর পরও প্রশাসন ক্যাম্পাসে ছিনতাই রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।
এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাছুদ পারভেজ বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় আমাদের পুলিশ বক্সের সামনে আসে। সেসময় আমাদের পুলিশ সদস্যরা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাঁকে মেডিক্যাল সেন্টারে পাঠায়।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর পুরঞ্জিত মহলদার বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে শুনেছি ঘটনাটি ক্যাম্পাসের বাইরে ঘটেছে। সেসময় আহত জাহিদ পুলিশের সাহায্যের জন্য চিৎকার করলেও তারা এগিয়ে আসেনি। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছে।
Leave a Reply