1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ পূর্বাহ্ন

চাপ কাটিয়ে সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচনের দিকে আ. লীগ

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১১৯ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তর্জাতিক, যেকোনো চাপ অতিক্রম করে সংবিধান নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় এবং যথাসময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন প্রশ্নে নেওয়া কঠোর অবস্থানেই শেষ পর্যন্ত অনড় থাকার কথা জানাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি, দলটির নেতৃত্বাধীন জোট, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন চলছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্রেরও চাপ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিএনপির আন্দোলন চলছে।

বিএনপি আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। পাশাপাশি নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার সময়ও এগিয়ে আসছে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের আন্দোলন বা বিদেশি চাপে নতিস্বীকার করে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনবে না বলে ইতোমধ্যেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি এই অবস্থানেই অনড় রয়েছে।

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে৷ সে অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে সংবিধান নির্ধারিত ৯০ দিনের সময়সীমা এবং আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার প্রক্রিয়া শুরু হবে৷

নভেম্বরের শুরুর দিকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন, সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বক্তব্য অনুযায়ী আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে বিএনপির চলমান আন্দোলন সফল হবে না। সরকারের পাশাপাশি এমনটি মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। তাদের আশঙ্কা, নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপি সহিংসতার পথ বেছে নিতে পারে। ইতোমধ্যে দলটি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৪ সালেও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ওই সময় দেশজুড়ে নাশকতা, সহিংসতা, ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও সে ধরনের পরিস্থিতি বা এর চেয়েও বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে।

সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা নির্বাচন নিয়ে বিদেশি চাপের বিষয়টিও মাথায় রেখেছেন। আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য হয়, তা বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো থেকে বলা হচ্ছে। একের পর এক বিদেশি প্রতিনিধিরা আসছেন নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও নেতারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে বলে অনেক আগে থেকেই তাদের বক্তব্যে তুলে ধরছেন। তবে এর মধ্যেই মার্কিন ভিসা নীতিসহ কিছু পদক্ষেপ নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে দৃশ্যমান হয়েছে। এই ধরনের চাপ হয়তো আরও আসতে পারে, বিষয়টিও সরকার ও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় রয়েছে। আর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোকে মাথায় নিয়েই তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে অনড় থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বলেও সরকার ও আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো জানায়।

আবার সরকারের নীতিনির্ধারকরা অবশ্য কখনও কখনও প্রকাশ্যেই বলছেন, নির্বাচন ইস্যুতে বিদেশি চাপের কোনো বিষয় নেই। যে দেশগুলো থেকে আরও চাপ আসার কথা বলা হয়, সেসব দেশের সঙ্গে সরকারের সমঝোতাও রয়ে গেছে বলেও তারা জানাচ্ছেন।

১২ অক্টোবর এক সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নজিরবিহীন উন্নয়ন করেছেন শেখ হাসিনা। তাই আগামীতে নজিরবিহীন নিরপেক্ষ নির্বাচনও শেখ হাসিনাই করবেন। পিটার হাস সাহেব (মার্কিন রাষ্ট্রদূত) ফখরুলকে (বিএনপির মহাসচিব) কি স্বপ্ন দেখিয়েছেন? ফখরুল সাহেব, ক্ষমতা অনেক দূরে। পিটার হাস সাহেবের মুরব্বিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমেরিকার মুরব্বি যারা, তাদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ। উচ্চ পর্যায়েও কথাবার্তা হয়ে গেছে। তলে তলে যখন সব শেষ, তখন আর এসব করে লাভ কী?

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হয়ে যাবে। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিএনপির আন্দোলন, নির্বাচন প্রতিহত করা, এসব তো গত ৬ মাস ধরে শুনে আসছি। নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কোনো চাপ নেই। এসব বিষয় নিয়ে আমরা কোনো চিন্তা করছি না।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট