গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তৎপরতার মধ্যেই সেখানে দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। ইসলামপন্থী এই সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা।
‘এবং একই সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াই চালিয়ে যেতেও আমরা প্রস্তুত।’
প্রায় দু’সপ্তাহ আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ। সেখানেও ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র সংঘাত চলছে বলে দাবি করেছেন আবু উবাইদা।
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা। ওই দিন সীমানাপ্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যা করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২৪২ জনকে ধরে নিয়ে যায়।
জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আইডিএফের গত ৭ মাসের অভিযানে ইতোমধ্যে এ অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৩০০ জন বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজার ২০০ জন। এই হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী এবং শিশু।
অন্যদিকে অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট ২৭৯ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।
তবে সম্প্রতি ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজ দাবি করেছে, হামাস যোদ্ধাদের পাল্টা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১১৯ জন সামরিক ও বেসামরিক ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা অভিযানে গত ৭ মাসে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সেখানে ক্ষমতাসীন হামাসকে সম্প্রতি দায়ী করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর, আনাদোলু এজেন্সি
Leave a Reply