আজ বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই কোরবানির পশুর হাটে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা। তবে অধিকাংশ ব্যাপারি হাটের শুরুতে গরুর যে দাম হাঁকিয়েছিলেন, শেষ সময়ে তা অনেকটাই কমিয়েছেন। অল্প লাভেই চাইছেন পশু বিক্রি করতে। অনেকে আবার বিক্রি করতে না পেরে গরু ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বুধবার (২৮ জুন) সরেজমিনে মোহাম্মদপুর টাউন হলে অবস্থিত অস্থায়ী হাটে দেখা যায়, শেষ সময়ে গরু বিক্রির জন্য হাঁকডাক করছেন ব্যাপারিরা। কেনা দামের চেয়ে অল্প লাভেই বিক্রি করতে চাইছেন পশুগুলো। তবুও ক্রেতাদের সাড়া মিলছে না। ফলে অবিক্রীত পশুগুলোকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যাপারিরা।
পাবনা থেকে আসা ব্যাপারি সেলিম হোসেন ছয়টি গরু হাটে এনেছিলেন। বিক্রি হয়েছে কেবল দুটি গরু। অবিক্রীত গরু নিয়ে তার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তিনি বলেন, আজ শেষ দিনে ভেবেছিলাম ভালো বিক্রি হবে। কিন্তু বৃষ্টি সব শেষ করে দিল। তাছাড়া কাস্টমার এলেও অনেক কম দাম বলছে। এখন আর লাভের চিন্তা নেই। কেনা দামের চেয়ে কিছুটা বেশি পেলেই ছেড়ে দেব।
আরেক ব্যাপারি শরিফুল ইসলাম হাটে এনেছিলেন চারটি গরু। তিনি বলেন, দুটি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। বাকি দুটি ভেবেছিলাম আজ বিক্রি করব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে কাস্টমার কমে গেছে। যারা আসছে তারা অনেক কম দাম বলছে। গরু ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও লস। তাই ভাবছি সামান্য লস হলেও ছেড়ে দেব।
কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে গরু বিক্রি করতে না পেরে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ব্যাপারি সুমন মিয়া। তিনি বলেন, ৮টা গরু নিয়া আসছিলাম, বিক্রি হয়েছে কেবল তিনটা। নিজের কোরবানির জন্য একটা রেখেছি। বাকিগুলা আজ রাতের মধ্যে বিক্রি না হলে ফেরত নিয়ে যাব।
বড় গরুর চেয়ে ক্রেতাদের বেশি পছন্দ ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। মাঝারি সাইজের গরু কিনতে ধানমন্ডি ৩২ থেকে এসেছিলেন সিয়াম আহমেদ নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, মূলত শেষ রাতে গরুর দাম কিছুটা কমে যায়। তাই এখন এসেছি। বাজেটের মধ্যে পেলে নিয়ে নেব।
আরেক ক্রেতা মোস্তাফিজুর রহমান এসেছেন কাদেরাবাদ থেকে। তিনি বলেন, এবার শুরু থেকেই গরুর দাম অনেক বেশি ছিল। শেষ সময়ে কমে মিলবে ভেবেই আসা।
Leave a Reply