ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কারওয়ান বাজার অংশে নামার র্যাম্প খুলছে আজ। র্যাম্পটি এফডিসি’র কিছুটা সামনে নেমেছে।
বুধবার(২০ মার্চ) সকাল সাড়ে দশটায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উদ্বোধন করবেন। এরপরেই এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে যানবাহন কারওয়ান বাজারের সড়কে নামতে পারবে।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রকল্প সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে র্যাম্পটি পরিদর্শন করে কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষকে।
প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, এ পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। এখানে সোনারগাঁও হোটেলের পাশ দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার জন্য একটা সংযোগ সড়ক হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এই র্যাম্প কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) প্রধান ফটকের সামনে নেমেছে। র্যাম্পের নির্মাণকাজ শেষ। সড়ক ও ফুটপাতের মাঝখানে দেয়াল ঢালাই চলছে। সেখানে দায়িত্বরত নিরাপত্তা সহকারী বুলবুল আহমেদ বলেন, গত মাসেই (ফেব্রুয়ারি) কাজ শেষ হয়েছে। চলতি মাসে এটি খুলে দেওয়া হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ১৬তম র্যাম্প খুলবে। এর আগে বিমানবন্দরসংলগ্ন কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ওঠানামা মিলিয়ে ১৫টি র্যাম্প খুলে দেওয়া হয়েছে। পুরো এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠানামার সংযোগ সড়ক থাকবে মোট ৩১টি। কাওলা থেকে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। তবে ৩১টি র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
ট্রাফিক বিভাগ বলছে, এক্সপ্রেসওয়ে থেকে যানবাহন নামার কারণে এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে চাপ রয়েছে। কারওয়ান বাজারের র্যাম্প খুলে দিলে মতিঝিল ও দক্ষিণমুখী যান তখন এই র্যাম্প ব্যবহার করবে। এতে ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডের চাপের বড় অংশ কারওয়ান বাজার ও আশপাশের সড়কে চলে আসবে।
গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর এই মেগা প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই অংশে ১৫টি র্যাম্প আছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, খুলে দেওয়ার পর থেকে গতকাল ৪ মার্চ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৬০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৮টি যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা। জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, আপাতত টোল বাড়ানোর পরিকল্পনা তাঁদের নেই। তবে পুরোপুরি চালু হলে টোল বাড়তে পারে।
Leave a Reply