২০২২ বিশ্বকাপ জেতার পর প্রথমবার সাক্ষাৎকার দিলেন লিওনেল মেসি। কাতারে শিরোপা উদযাপন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় ওঠে এসেছে সেই সাক্ষাৎকারে।
যেখানে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড জানিয়েছেন, কাতারে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তকমা জেতার পর থেকে তার জীবনটাই বদলে গেছে।
প্যারিসভিত্তিক রেডিও ‘আরবানা প্লে’-এর উপস্থাপক অ্যান্ডি কুসনেটজফকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘ভাগ্যক্রমে, যে স্বপ্ন আমরা অসংখ্যবার দেখেছি, যা আমি সারাজীবন ধরে চেয়েছি, তা অবশেষে বাস্তবে রূপ পেয়েছে।
‘২০১৪ সালের আগেই একবার বলেছিলাম যে, ঈশ্বর আমাকে একটা বিশ্বকাপ দেবেন। এরপর ব্রাজিলের (২০১৪ বিশ্বকাপ) ঘটনা ঘটলো।
আমরা একদম কাছে (ফাইনালে) পৌঁছে গিয়েছিলাম। আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। আমি ভেবেছিলাম তিনি (ঈশ্বর) আমার জন্য এটা বরাদ্দ রেখেছিলেন এবং সেবারের মতো ভালো সময় আর হয় না। যেমন কোপা আমেরিকার মতো সেরা মুহূর্ত হয় না। তিনি আমাকে যা দিয়েছেন, সবকিছুর জন্য আমি তাকে প্রতিদিন ধন্যবাদ জানাই। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না। ‘
কাতারে শিরোপা জিতে ঘরে তথা আর্জেন্টিনায় ফেরার পর বীরোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয় মেসিদের। স্বদেশের ফুটবলপ্রেমীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তারা। এরপর নিজ শহর রোজারিওতে মেসিকে ঘিরে উন্মাদনা বিরাজ করেছে কয়েকদিন। সেই মুহূর্তগুলোকে স্মরণ করে মেসি বলেন, ‘ওভাবে (বিশ্বকাপ জিতে) ফিরতে পারাটা অসাধারণ। এটা লম্বা ভ্রমণ ছিল। আমরা এজেইজাতে পৌঁছানোর দেখি জায়গাটা লোকে লোকারণ্য। আমি এক কিংবা দুই ঘণ্টা ঘুমিয়েছি, জেগে ওঠার পরে দেখি সকাল পাঁচ-ছয়টার দিকে ওবেলিস্কে বহু মানুষ অপেক্ষায় আছে। আমি বুঝতে পারছিলাম কোন পর্যায়ের উন্মাদনা চলবে এবং হয়েছেও তাই। সবধরনের মানুষের আনন্দ- এটা আসলে ব্যাখ্যার অতীত। সবচেয়ে বড় কথা- মানুষ যে আচরণ করেছে, কারণ সেখানে ৫০ লাখ মানুষ ছিল; কিন্তু কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। যদিও তেমন কিছু ঘটার ভয় তো ছিলই; কারণ ব্রিজের ওপর অনেক সমর্থকের উন্মাদনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছ, কেউ একজন আবার (ছাদখোলা বাসে মেসিরা শহর প্রদক্ষিণ করার সময়) ছাদের ওপর লাফিয়ে পড়েছিল..। ‘
বিশ্বকাপের গায়ে চুমো এঁকে দেওয়ার সেই বিখ্যাত মুহূর্ত নিয়ে মেসি বলেন, “আমি তাকে দেখলাম এবং আমি নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারছিলাম না। শিরোপাটা আমাকে ডাকছিল। এটা যেন আমাকে বলছিল, ‘এটাই সেই সময়, এসো এবং আমাকে ধরো, এখন তুমি এটা ছুঁয়ে দেখতে পারো। ‘ আমি ভাবলাম এবং এটার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় চুমো এঁকে দিলাম। এটা আমার দরকার ছিল। ‘
Leave a Reply