আলোচিত তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছিলেন দেশটির অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। তাকে ওএসডি করেছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।
জিও নিউজ বলেছে, বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে আইএইচসির ‘নতুন একটি পদে’ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পদটি কি, সেটি জানা যায়নি।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এ ঘোষণার পর অতিরিক্ত রেজিস্টার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে নতুন পদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএইচসির মাননীয় শীর্ষ বিচারপতির নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ও সেশন জজ হুমায়ুন দিলাওয়ারকে হাইকোর্টের জুডিশিয়াল সার্ভিস সংক্রান্ত নতুন একটি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়। গত বুধবার (২৩ আগস্ট) ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার ঘোষিত সাজার রায়ে ‘গুরুতর ত্রুটি’ ছিল বলে পর্যবেক্ষণ দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালসহ তিন বিচারকের সমন্বয়ে বেঞ্চটি গঠিত হয়। এতে তার সঙ্গে আছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারক জামাল খান মান্দোখালিল ও বিচারক সৈয়দ মাজহার আলী আকবর নকবী। গত ৪ আগস্ট তাদের বেঞ্চ ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ইমরান খানের আপিলটি আমলে নেয়।
প্রধান বিচারপতি ওমর আতা বান্দিয়ালতার পর্যবেক্ষণে বলেন, দায়রা আদালত একদিনেই যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক ছিল না। যে কারণেই প্রথম দৃষ্টিতেই রায়টির ত্রুটি ধরা পড়েছে। তা ছাড়া ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে রায় দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা ও পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তারা।
সর্বোচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের তিন দিনের মধ্যেই ইমরানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকারী বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে ওএসডি করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোশাখানা বিতর্ক শুরু হয়। পিটিআই চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশিদের দেওয়া বিভিন্ন উপহার নামমাত্র মূল্যে কিনে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে উপহারগুলোর দাম বেশি দেখান তারা। এ অভিযোগে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতে মামলা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। মামলার রায়ে ইমরান খানকে ৩ বছর কারাবাস ও ১ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।
Leave a Reply