রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া হামলায় আরও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন এবং শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৮ জন নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন।
বিবিসি বলছে, উত্তর-পূর্বে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, রুশ হামলায় আট বছর বয়সী একটি মেয়েসহ আটজন নিহত হয়েছেন। সেন্ট্রাল ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের পাভলোহরাদে একজন নারী নিহত হয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালের এই হামলায় বিশেষভাবে খারকিভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মেয়র ইহোর তেরেখভ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শহরের ফ্ল্যাটের একটি ব্লকের অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের জন্য ধ্বংসস্তূপের ভেতরে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
হামলার পর শহরের আকাশ আগুনে পোড়া কমলা রঙে পরিণত হয়। মূলত শহরটিতে হামলায় একাধিক ধরনের রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। শহরটি রাশিয়ান সীমান্তের খুব কাছাকাছি অবস্থিত এবং এই কারণে আকাশপথে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আটকানো বেশ কঠিন।
খারকিভের বাসিন্দা নাটালিয়া বিবিসিকে বলেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এতো ‘জোরে’ বিস্ফোরণের শব্দ হয়েছে বলে তিনি মনে করতে পারেন না। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ি কেঁপে উঠেছিল। পুরোটাই খুব জোরে ছিল। সেখানে বিস্ফোরণ হয়, তারপর আরও দশ সেকেন্ড পর আরেকটি বিস্ফোরণ।’
তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বিদ্যুৎ ও উত্তাপহীন অবস্থায় রয়েছে। ভয় ও ঘৃণা ছাড়া এই মুহূর্তে আমি কিছুই অনুভব করছি না।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও সাতজন আহত হয়েছেন বলে তেরেখভ জানিয়েছেন।
এদিকে কিয়েভে সকালে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমান হামলা চলে। যা গত ২ জানুয়ারির পর থেকে দীর্ঘতম। হামলায় সেখানে ফ্ল্যাটের একটি ব্লকে আগুন লাগলে আরও বেশ কয়েকজন আহত হন এবং সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সোভিয়াতোশিনস্কি জেলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে, জরুরি পরিষেবা বিবিসিকে বলেছিল, তারা এখনও ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিস্ফোরক খুঁজছে।
কারণ সন্দেহ করা হচ্ছিল- সেখানে তখনও কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের অংশ থাকতে পারে যা বিস্ফোরিত হয়নি।
Leave a Reply