শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থী অপচয় ও অভিভাবকদের হয়রানি বন্ধ করতে আমরা গুচ্ছ পদ্ধতি চালু করেছি। শুধু গুচ্ছ পদ্ধতি নয়, শিক্ষার্থীদের সুবিধা চিন্তা করে বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি। এখন শুধু উচ্চবিত্তরা না, নিম্নবিত্তরাও ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করছেন।
সোমবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন একমুখী শিক্ষা কিন্তু তা হয়ে গেছে বহুমুখী শিক্ষা। আমরা বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ব্যবস্থার আলোকে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থাকে সাজানোর চেষ্টা করছি। ভবিষ্যতে আরো ভালো পর্যায়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যেতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন আধুনিক মাস্টারপ্ল্যান। একজন নাগরিককে সবদিক দিয়ে স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট নাগরিকের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষার। আর স্মার্ট শিক্ষার ফলেই দেশ হয়ে উঠবে উন্নত।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জায়গা- এখানে গবেষণা নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মেধাবী হন। তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনলে তারা আরো গুণগত শিক্ষা দিতে পারবেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়েও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
ডা. দীপু মনি বলেন, ২০২২ সালে করোনার প্রভাব শেষ হয়নি। কাগজের সংকট, বিদ্যুৎ সংকটসহ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলা করে নতুন বছরে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে পেরেছি। বই ছাপানো নিয়ে অনেকেই কটু কথা বলছেন। তবে এগুলো সত্য না। নতুন বই নিয়ে কেউ গঠনমূলক পরামর্শ দিলে আমরা তা বিবেচনায় নেব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. এ এম হুমায়ুন কবির, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীর প্রমুখ।
Leave a Reply