1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ:
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান বিজয় দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আমন্ত্রণ সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, পূর্বাভাসে শীত নিয়ে নতুন বার্তা ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল ঘন কুয়াশায় মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ গাজায় বর্বর হত্যাযজ্ঞ চলছেই, নিহত ছাড়াল ৪৪ হাজার ৮০০ ভোটাধিকার বঞ্চিত দেড় কোটি প্রবাসী, কার্যকর উপায় খুঁজছে সংস্কার কমিশন ভারতে পুলিশি পাহারায় ভাঙা হলো ১৮০ বছর পুরোনো মসজিদের একাংশ আগরতলা অভিমুখে লংমার্চে অংশ নিতে নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র রুগ্ণ শিল্প

মানুষকে মানুষ মনে করলে পুড়িয়ে মারত না : শেখ হাসিনা

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১৩৮ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। মানুষ হিসেবে গণ্য করলে রেলে আগুন দিয়ে কীভাবে মানুষ পোড়ালো ? একটা মা তার ছোট বাচ্চাকে বাঁচানোর জন্য বুকে ধরে রেখেছিল, সেই অবস্থায় মরে কাঠ হয়ে গেলো! বাসের ভেতরে হেলপার ঘুমিয়ে ছিল, আগুন দিয়েছে, হেলপার পুড়ে শেষ! ঠিক ১৩ ও ১৪ সালের মতো এবারও একই ঘটনা তারা (বিএনপি) ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির জন্ম হচ্ছে কার দ্বারা? অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘনকারী, সেনা আইন লঙ্ঘনকারী, ক্ষমতা দখলকারী এক জেনারেলের পকেট থেকে। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। হ্যাঁ, না ভোটের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ক্ষমতায় বসে থেকে একদিকে সেনাপ্রধান, আরেকদিকে রাষ্ট্রপ্রধান, আবার নির্বাচনও করেছে। এটা সেনা আইন বিরোধী। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে পকেট থেকে বের হওয়া একটা দল বিএনপি। তাদের কাজের সবকিছুই অবৈধ।

আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে জ্বালাও পোড়াও, অগ্নি সন্ত্রাস। এটাই তারা পারে। এটাই তারা ভালো বুঝে, এটাই তারা জানে। নির্বাচনে তারা আসবে না, আসবে কীভাবে বলেন? ২০০৮ এর নির্বাচন নিয়ে তো কারো কোনো অভিযোগ নেই। কেউ তো কোনো কথা বলতে পারে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল কী ছিল? সেই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট, তারা পেয়েছিল মাত্র ৩০টা সিট। আর আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছিল ২৩৩টা সিট। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। তারা বড় বড় কথা বলে, ভোটের কথা বলে, ওরা ভোটের কী বুঝে?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকানোর নামে ৫৮২টা স্কুল, ৭০টি সরকারি অফিস, ছয়টা ভূমি অফিস এবং ৩২৫২টি গাড়ি, ২৯টা রেল, ৯টা লঞ্চ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছিল। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল। এমনকি জজের এজলাসেও তারা আগুন দেন। বোমা মেরে ঝালকাঠিতে জজ হত্যা করে। গাজীপুরে আইনজীবীদের আক্রমণ করল এবং বোমা মেরে আহত করল। এইটাই-তো বিএনপির চরিত্র। এখন আবার শুরু করেছে অগ্নি সন্ত্রাস। বাসে আগুন দিচ্ছে, রেলে আগুন দিচ্ছে। নতুন কোচ আমরা কিনেছি, মানুষ যাতে শান্তিতে চলাফেরা করতে পারে, মানুষের শান্তি দেখলে ওদের মনে অশান্তি লাগে। সেগুলোও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে আমরা দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। কারণ, দুর্নীতি একটি দেশকে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিছু লোক হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়, আর যারা সৎভাবে জীবন যাপন করে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়। সে কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স আমরা ঘোষণা দেব। দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায়, সমতাভিত্তিক সমাজ, অর্থনৈতিককে ন্যায় এবং সমতাভিত্তিক করে মানুষের জীবনমান উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। সেভাবে আমরা দেশকে গড়ে তুলতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ শুধু একটা শব্দ নয়, এর অন্তর্নিহিত অর্থ হচ্ছে- সার্বিকভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে স্থায়ী বন্দোবস্ত করে আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম যেন সুফল ভোগ করতে পারে। সেজন্য আমরা প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা জামানতে ঋণ নিতে পারবে তারা। কৃষকদের মধ্যে যারা বর্গাচাষি তারা যাতে জামানত না রেখে কৃষি ঋণ পেতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছি। আমরা কৃষকদের উপকরণ কার্ড দিয়েছি। ২ কোটির উপরে কৃষক এই উপকরণ কার্ড পান, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। ভর্তুকির টাকা ব্যাংকে সরাসরি তাদের কাছে চলে যায়।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে এই কৃষকরা সার চেয়েছিল বলে তাদের গুলি করা হত্যা করা হয়। আজ আমাদের কৃষকদের সারের পেছনে ছুটতে হয় না। সার কৃষকের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। আওয়ামী লীগ সরকারে এসে এ ব্যবস্থা করেছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট