1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : editor :
  3. [email protected] : moshiur :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন

বেড়েই চলেছে সব ধরনের মাংসের দাম

মহানগর রিপোর্ট :
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ২১৪ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

রোজার শুরু থেকেই গরু, মুরগি, খাসিসহ সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েই যাচ্ছে। প্রথমদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও আজ ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি খাসির মাংস। পাশাপাশি কিছুদিন ধরে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া গেলেও আজ তা বেড়ে ২৩০ টাকা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত কয়েক দিন ২১০ থেকে ২২০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও, আজ তা বেড়ে ২৩০ টাকায় ঠেকেছে। সেই সঙ্গে অন্য সব ধরনের মুরগির দামও বেড়েছে বাজারে।

বাজারে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়, কক মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। অন্যদিকে রমজানের শুরু থেকে বেড়েই যাচ্ছে গরুর মাংসের দাম।

যদিও প্রথমদিকে কোথাও কোথাও গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বেশিরভাগ জায়গায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংসের দাম রাখা হচ্ছে ১১০০ টাকা।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী এনামুল হক বলেন, সবকিছুর দাম এত বাড়তি যে, কিনে খাওয়াই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রমজান মাস আসলে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেওয়া হয়, অথচ আমাদের দেশে কে কত বেশি দাম নিতে পারবে সেই প্রতিযোগিতা চলে। ব্যবসায়ী, অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে আমরা জিম্মি।

তিনি বলেন, সব মাংসের দাম বেশি কোনোমতে ব্রয়লার মুরগি কিনে মাংসের চাহিদা পূরণ করে মানুষ। অথচ সেই মুরগির দামও আজ বাড়তি। কিছুদিন আগেই ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে আজ প্রতি কেজি দাঁড়িয়েছে ২৩০ টাকা।

এভাবে যদি নিয়মিত দাম বাড়তে থাকে তাহলে সংসারের ব্যয় ভার কীভাবে বহন করবে। সোনালি মুরগি কিনতে গেলে প্রতি কেজির দাম লাগে ৩৪০ টাকা, কক লাগে ৩৫০ টাকা আর দেশি মুরগি শখ করেও তো কেনা যায় না। কারণ সেটার কেজি ৭০০ টাকা।

আরেক ক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, ৭৮০ টাকা কেজি গরুর মাংস, যা অবশ্যই সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। কিছুদিন আগে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় নাটক করে ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল, সেই মাংসই এখন সব জায়গাতেই ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেকে আছে রমজান মাসে শখ করে গরুর মাংস কিনে আর এই সুযোগেই ক্রেতাদের জিম্মি করে গরুর মাংসের দাম আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

মুরগির বাড়তি দামের বিষয়ে রাজধানীর বনানী কাঁচাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী এরশাদ আলী বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তাই বাড়তি দাম দিয়ে আমাদেরও মুরগি কিনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে যখন দাম বৃদ্ধি পায় তখন খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়ে।

অন্যদিকে মগবাজার সংলগ্ন একটি গরুর মাংসের দোকানের বিক্রেতা আজাহার আলী বলেন, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে আজ বিক্রি করছি।

তারপরও লাভ হচ্ছে না। কারণ গরুর দাম, দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতনসহ সব খরচ দিয়ে লাভ থাকেই না। ইতোমধ্যে ঢাকা শহরের অনেক গরুর মাংসের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে।

বাড়তি দামের কারণে মানুষ গরুর মাংস কেনা অনেক কমিয়ে দিয়েছে। যে দোকানে আগে সারাদিনে একটি গরুর পুরো মাংস বিক্রি হত, এখন সেই দোকানেই অর্ধেকও বিক্রি করতে পারে না।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: সিসা হোস্ট